স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কার্যক্রম
সিদীপ তার চারগাছ ও রতনপুর ব্রাঞ্চে পিকেএসএফ- এর সহযোগিতায় সমৃদ্ধি প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে। এই ব্রাঞ্চগুলোর সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কার্যক্রম, শিক্ষা সহায়তা এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রমের সুবিধা পাচ্ছেন। সিদীপ- এর সমৃদ্ধি প্রোগ্রামের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কার্যক্রমের আওতায় সেকমো এবং স্বাস্থ্য স্বেচ্ছাসেবকরা সংস্থার সদস্যদের বাড়িতে যান এবং পরিবারগুলোকে বাড়িভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা দেন এবং পুষ্টি বিষয়ে আলোচনা করেন। গ্রামের সুবিধাজনকস্থানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মাধ্যমে স্যাটেলাইট ক্লিনিক পরিচালনা করা হয় যাতে করে গ্রামের দূরবর্তী এলাকার মানুষ সেবা পেতে পারে।
তরুণদের সঠিক পথে পরিচালনার জন্য যুব সমন্বয় সভা, ওয়ার্ড সমন্বয় সভা এবং সমৃদ্ধি ইউনিয়ন সমন্বয় সভায় “আত্ম-উপলব্ধি, নেতৃত্ব গঠন এবং কাজ নির্ধারণ” শীর্ষক বিষয়ে আলোচনা আয়োজন করা হয়। প্রতিটি ইউনিয়নে নির্মিত কেন্দ্রঘরের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম যেমন সভা, শিখন কেন্দ্র বা মক্তব, টিকাদান ওয়ার্ড কমিটির সভা, স্যাটেলাইট ক্লিনিক ও বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়।
সমৃদ্ধি প্রোগ্রামের আওতায় সিদীপ তার কর্মএলাকায় দরিদ্র মৃত ব্যক্তিদেও পরিবারের সদস্যদের দাফনের কাজে সহায়তা করে। যেমন ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে চারগাছ ব্রাঞ্চে এক মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের দাফনের খরচ চালানোর জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এই দুই ব্রাঞ্চের দরিদ্র জনগন সিদীপ- এর এই ধরণের সামাজিক কাজের জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।
সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অধীনে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি বয়স্ক সামাজিক কেন্দ্র রয়েছে যা প্রতিদিন বিকেল ৩ টা থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সেখানে বয়স্করা এসে পত্রিকা পড়েন, টিভি দেখেন, ক্যারাম খেলেন ইত্যাদি।
এছাড়াও গল্প বলা সহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রমও থাকে। গ্রাম কমিটি, ওয়ার্ড কমিটি এবং ইউনিয়ন কমিটি বয়স্কদের নিয়ে গঠিত হয়। এই কমিটি প্রতি মাসে বৈঠক করে। “প্রবীণ ম্বাস্থ্য সেবা” কার্যক্রমের আওতায় এই অর্থবছরে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা সাধারণ স্বাস্থ্য সেবা পরিচালিত হয়।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায়, সংগঠনটি কিশোর-কিশোরী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। পূর্বে এর নাম ছিল সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মসূচি। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে, পিকেএসএফ কিশোর-কিশোরী কর্মসূচির ধরণ সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছে।
এই কর্মসূচি আগে জেলা-ভিত্তিক ছিল, কিন্তু এখন উপজেলা-ভিত্তিক করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা, নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর এবং মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলাকে সিডিআইপি কিশোর-কিশোরী কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৯টি করে ছেলে এবং ৯টি মেয়েদের ক্লাব গঠন করতে বলা হয়েছে। প্রতিটি ক্লাবে দুই ধরণের সদস্য থাকবে- ক) সাধারণ সদস্য এবং খ) নির্বাহী কমিটির সদস্য। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সাধারণ সদস্য হতে পারে। প্রতিটি ক্লাবে ১১ সদস্যের নির্বাহী কমিটি থাকবে।
প্রতিটি ক্লাবের জন্য দুজন পরামর্শদাতা নির্বাচন করতে হবে। পরামর্শদাতাদের মধ্যে একজন স্থানীয় কলেজ ছাত্র এবং একজন এলাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের ছাত্র হবেন। ক্লাব গঠন ও পরিচালনায় পরামর্শদাতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। পিকেএসএফের নির্দেশিকা অনুসারে, সিডিআইপির মেয়ে এবং যুব ক্লাবগুলি যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা হল:
১) সামাজিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম; ২) স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম; ৩) নরম দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ (শুদ্ধ উচ্চারণ এবং কবিতা আবৃত্তি/বক্তৃতা ইত্যাদি) এবং ৪) নেতৃত্ব উন্নয়ন ওরিয়েন্টেশন।